সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

Articles and Interviews লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যর্থতা মাধ্যমেই সফলতা আসে

সকলেই জীবনে সফলতা লাভ করতে চায়। কিন্তু সেই সফলতার জন্য নিজের মাঝে কি কি গুনাগুণ থাকা উচিত সে ব্যাপারটা অনেকেরই অজানা থাকে। এইখানে একজন কর্মক্ষেত্রে / জীবনে সফল মানুষের কিছু গুন বা যোগ্যতা তুলে ধরা হলো যা থেকে আমরা নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারিঃ ০১. শোনার যোগ্যতাঃ  কারো কোন কথা ভালো মতো শুনুন। নিজে কিছু বলার আগে ভালোভাবে শুনে নিন। ভালোমতো শুনার যোগ্যতাটা একটা বড় গুন। মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা একটা মুখ এবং দুটো কান দিয়েছেন। দুটো কানতো আর খামোখা দেয়নি। ০২. মানসিক দৃঢ়তাঃ  একজন সফল মানুষ জানে কিভাবে “না” বলতে হয় এবং কখন নির্দ্বিধায় তা করতে হয়। একজন সফল মানুষই পারে বাস্তবমুখী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে। ০৩. অতীতের ভুলের প্রতি কম মনোযোগী হোনঃ  ভুল আমরা কমবেশী সবাই করি। একজন নিখুঁত মানুষ খুঁজে পাওয়াটা দায়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করুন কিন্তু অতীত নিয়ে পড়ে থাকবেন না। কারণ, যা চলে যায় তা কখনো আর ফিরে আসে না। ০৪. অন্যজনের দৃষ্টিকোন থেকে দেখুনঃ  একজন সফল মানুষ সবসময় একটা বিষয়কে অন্যজন কিভাবে ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করে। সুতরাং একটি বি...

ইন্টারভিউতে ভালো করার ১০টি উপায়!

বাংলাদেশে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে খুব সচেতন হতে হবে। চাকরি বাছাইপর্ব থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে নির্ভুলভাবে পা ফেলতে হবে। প্রায় ১৫ কোটি মানুষের এ দেশে বেকার শ্রেণীর মানুষের অভাব নেই। যে কোনো ধরনের একটা চাকরি পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া। তাই প্রতিযোগিতায় আপনাকে খুব বুঝেশুনে চলতে হবে। যাতে কোনোভাবে ফসকে পড়ে না যান। চাকরির ক্ষেত্রে ফসকে পড়ার সিরিয়াস পর্যায় হলো ইন্টারভিউ পর্যায়। পছন্দসই চাকরি বাছাই করা, চাকরি সম্পর্কে বিভিন্ন খোঁজ-খবর নেয়া, নিয়োগের জন্য আবেদন করা, ভালো প্র‘তি নেয়া সব ধাপই আপনি নির্ভুলভাবে শেষ করেছেন। কিন্তু ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারেননি। চাকরি পাওয়াটা আর আপনার হলো না। এতোদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, কষ্ট সব নিঃশ্বেষ হয়ে গেলো। অথচ ইন্টারভিউতে একটু ভালো করতে পারলেই চাকরিটা নিশ্চিত ছিল। এরকম ভুল যেনো আর না হয়, সেজন্য আপনাকে আগে ইন্টারভিউতে ভালো করার সহজ উপায়গুলো জানতে হবে। নিচে ইন্টারভিউতে ভালো করার সহজ উপায় সম্পর্কে দশটি টিপস দেয়া হলো। ১) চাকরিটি সম্পর্কে আপনার বিস্তৃত জ্ঞান থাকতে হবে। এ জ...

আমি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার

এই কথাটি বলতে যে সকল ভাইয়েরা হিনমন্য ও চিন্তিত তারা দয়া করে পড়বেন। *BSc না করে নাকি নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার লিখতে পারবো না। বিশ্বের কোন দেশে এমন রুল আছে? কারো জানা থাকলে জানাবেন please. *ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা. A level বা HSC করার পরে কারিগরি ব্যবস্থায় ১ বছর(যেমন:TICI) পড়ালেখা করলে Technician হওয়া যায়। তারপর ১ বছর পড়ালেখা করলে Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর আরো ১ বছর মোট ৩ বছর পড়ালেখা করলে Heigher Diploma certificate পাওয়া যায়। তারপর ১ বছর পরে BSc এবং তার ১ বছর পরে MSc. *আমাদের দেশের HSC (12 Y) বিদেশের A level (11 Y) BSc Engineer হতে হলে A level এর পরে ৪ বছর পড়ালেখা করতে হয় *সেই হিসাবে International standard এর Diploma certificate চাইলে HSC এর পরে ২ বছর পড়ালেখা করতে হবে। তাই Diploma ৩ বছর থেকে ৪ বছর করা হয়েছে। আর ডিগ্রী ৩ বছর। তাই Diploma Degree equivalent হয় না । *কারিগরি ব্যবস্থার সাধারণ শিখ্যার সাথে মিলানো যাবেনা , যেমন Medical MBBS ও একটি World Recognise Education level.এতে ৫ বছর পড়ালেখা করে তা ডিগ্রী সমতুল্য (ঢাকা পিজি...

আজই শুরু করুন...

নিজেকে কি ভবিষ্যতের একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে চিন্তা করেন? তাহলে ভবিষ্যৎ এর জন্য অপেক্ষা কেন এখনই শুরু করে দেন না। একটা বিজননেস শুরু করতে গেলে, তার জন্য প্রস্তু তি, মার্কেট রিসার্স, কাস্টমার রিসার্স, নতুন মার্কেট জেনারেশন, প্রমোশনাল স্ট্রাটেজি ঠিক করা, ম্যানেজমেন্ট, টিম রেডি করা, দেশের সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা বোঝা, অনেক গুলো টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে হতে পারে এগুলো সম্পর্কে জানা সব মিলিয়ে বেশ সময় দরকার। এই কাজগুলো আমি শুরু করেছিলাম ২০০৯ থেকে। তখনকার দেখা স্বপ্ন, বিজনেস প্লান, পারিপাশ্বিক অবস্থা বোঝার ক্ষমতা, ম্যানেজমেন্ট পাওয়ার,ঝুকি গ্রহণের জন্য মানষিক শক্তিমত্বা ইত্যাদিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে এতদিনে। এর পাশাপাশি দরকার বিজনেসটা শুরুর জন্য শুরু করা। অর্থাৎ টেস্টিং মুডে স্টার্ট করা, এবং সত্যিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করা। তুমি যদি পুকুড়ে না নেমে সাতার শেখার জন্য ১০০ টা বইও পড়ে শেষ করো খুব বেশি লাভ হবে না। বরং বই না পড়ে যদি অভিজ্ঞ সহযোগীকে সাথে নিয়ে চেষ্টা করো তবে একটা সম্ভাবনা আছে, হয়তো তুমি বই না পড়েও সাতার শিখতে পারবে। এরপর যদি এডভান্স কিছু করতে চাও তাহলে বই পড়া বা অন্...

টমেটো সস এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ার আমি

ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ে পড়ছি মহাবিপদে! এ বিষয়টা নিয়ে আমার নিজেরি কৌতূহল আজও শেষ হয়নি সেখানে আমজনতার শেষ হবেনা এটাই স্বাভাবিক! শুরুটা হয় এভাবে- - ‘তোমাদের কি কি শেখায়?’ -মাল্টি ইঞ্জিনিয়ারিং!  কিন্তু এ সহজ এবং চরম সত্য উত্তরটা কখনই প্রশ্নকর্তাকে খুশি করতে পারেনা! তাই বাধ্য হয়েই বলতে হয়... - চানাচুর, বিস্কুট, চকলেট, ক্যান্ডি, পাউরুটি, চিপস, ক্রাকার্স, আইসক্রিম, জ্যাম, জ্যালি, পিকেল, সস, কেচাপ, জুস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ... ... ...! - কিভাবে বানায় এগুলো? - ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টের জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন মেথড অ্যাপ্লাই করে থাকি। সব গুলো এখনো শিখি নি, তবে জ্যাম-জ্যালি-সস-কেচাপ এগুলো বানাতে পারি। তারপর কিছু ইনগ্রেডিয়েন্টস এর নাম আর ম্যানুফেকচারিং প্রসিডিওর বললেই মুক্তি । কিন্তু... ঘটনা আজকাল আর এখানেও থেমে থাকে না! বড় আম্মুকে জ্যাম-জ্যালি, সস-ক্যাচাপের গল্প শুনিয়েছিলাম গতকাল। উনি ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিবেন আশা করি নি। বলা নেই কওয়া নেই উনি টমেটো নিয়ে হাজির! সস বানিয়ে দিতে হবে! পড়লাম মহাবিপদে! সস বানানো শিখেছিলাম সেই টু ওয়ানে। এক বছর আগের কথা! তাও আবার নিজে বানাইনি! হালকা হালকা যা মনে আছে তা দিয়ে যাই...

ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং

আমি সদ্য ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি। আমার একটা চাকরি খুব প্রয়োজন। কোথায় কেমন কাজের সুযোগ আছে,জানতে চাই। মো. নুরুজ্জামান nuruzzaman675656@gmail.com পরামর্শ :  কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ আছে। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্রেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। অটোমোবাইল সেক্টরেও অনেক সুযোগ আছে। দেশে অনেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে। প্রত্যেক সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপক্ষে একজন করে ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়। একজন ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা শিক্ষার্থী নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অটোমোবাইল শপ করতে পারেন। দেশে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এসব পরিবহনের কারিগরি বিষয় দেখাশোনার জন্য পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন হয়। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আরেকটি বিভাগ হচ্ছ...

চাকুরি পেতে হলে নিজেকে যেভাবে তৈরী করবেন

  আমাদের নতুন ডিপ্লোমা ভাইয়েরা পলিটেকনিকে ভর্তি হয়েই ভাবেন যে, তিনি খুব দ্রুতই একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে যাবেন। ১ বছর কাটতে না কাটতে চোখের উপর থেকে যেনো পর্দা সরে যায়। বুঝতে শুরু করেন যে তারা তাদের জীবননে কি ভুলটাই না করেছেন। আর যারা বুঝতে পারেন না তারা আসলে বুঝতে চান না। তাদের ভাবনা থাকে যেমন চলছে চলুক, ডিপ্লোমা শেষে তো নিশ্চিত চাকরি পাবোই। আসলে এটি আমাদের ভ্রান্ত ধারণা যে ডিপ্লোমা করলেই চাকরী পাওয়া যায়। বাস্তবতা কিন্তু এমনটা আমাদের বলে না। প্রায় ৪০ ভাগেরও বেশি ডিপ্লোমাধারীরা কিন্তু এখোনো বেকার। কারণ একটাই তাদের ব্যবহারিক জ্ঞান নেই। তাই আপানাদের নিকট আগাম সতর্কবার্তা যে আপনারা আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান, আর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হউন। ইন্টার্নির আগেই শিখে ফেলুন আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রাক্টিক্যাল কাজ। তাহলে চাকুরি আর আপনার কাছে সোনার হরিণ হবে না, আর ঘরে বসে হতে হবে না বয়স্ক বাবা-মায়ের কষ্ট।  ফার্স্ট ইয়ার ডোন্ট কেয়ার, এরূপ মনোভাব ঝেড়ে ফেলুন। দেখবেন আপনি ৫ম সেমিস্টার থেকেই উপার্জন করছেন। আমার অনেক বন্ধুরা কিন্তু ১ম বছর থেকেই অর্থ উপার্জন শুরু করেছিল। আর বাকিরা ২য় ও ৩য় বছর থেকে শুরু ...

ডিপ্লোমা প্রকৌশলদের উচ্চশিক্ষার শিক্ষাবিদদের বিশ্লেষণ

ডিপ্লোমা প্রকৌশলদের উচ্চ শিক্ষা এই বিষয়টি নিয়ে লিখার প্রয়োজন বোধ করলাম শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষকদের নির্লিপ্ততা থেকে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোডের্র নিয়মানুসারে এস এস সি , এস এস সি (ভোকেশনাল), এইচ এস সি বা সমমানের শিক্ষার্থীরা চার বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা ক্ষেত্র পলিটেকনিক গুলোতে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হবার সুযোগ পান। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একই পদ্ধতিতে পলিটেকনিক গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে। বাংলাদেশ ব্যতীত ভারত সহ উন্নত বিশ্বের সকল দেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশল তিন বছরের কোর্সে পড়ানো হয়। এক বছর বেশি হওয়ার পরও স্বকৃতিতে বৃহৎ পার্থক্য দেখা যায়। ভারতে যেখানে তিন বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা ব্যাচেলর অব টেকনোলজি বা ব্যাচেলর অব ইজ্ঞিনিয়ারিং এ এক বছর (দুই সেমিস্টার ) এক্মমশন(পূর্বের পঠিত স্বীকৃতি) পেয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নের সুযোগ পায়। সেখানে আমাদের দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আগামী শিক্ষা বর্ষে কোন বর্ষ হতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের স্নাতক প্রকৌশল শিক্ষার সুযোগ দিবেন তার কোন নীতিমালা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি । এক্মমশন নির্ভর করে মূলত পূর্বে পঠিত বিষয়ে...

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সুলভ করা হোক

পলিটেকনিক শিক্ষাব্যবস্থার দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় যে, আজ থেকে প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগে বাংলাদেশে সরকারী পলিটেকনিক ছিল হাতেগুনা ১০ থেকে ১৫ টি । সে সব প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থী ছিল একেবারে নগন্য। সেই অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীদের জন্য তত্কালীন পলিটেকনিক ছাত্রশিক্ষকরা আন্দোলন করে আশির দশকে প্রতিষ্ঠা করেছিল ‘ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ (DUET)। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৪৯+টি সরকারি পলিটেকনিক এবং ৪৫০+টি বেসরকারি পলিটেকনিক রয়েছে। যেখান থেকে প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বের হয় কিন্তু এর বেশীর ভাগেরই পড়ালেখার যাত্রা এতটুকুতে থেমে যায়, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আর তাদের হয় না। সেই তত্কালীন অল্পসংখ্যক হাতেগুনা কয়েকটি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ছিল একটিমাত্র প্রতিষ্টান ডুয়েট। বর্তমানে ৫০০+ পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য সেই একই প্রতিষ্ঠান ডুয়েট। ডুয়েটের মত এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় আর কোন প্রতিষ্টান গড়ে তুলেনি সরকার। শিক্ষা ব্যবস্থায় কেন এমন বৈষম্য আমাদের প্রতি? বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় ডিপ্লোমা লাইনে যে হারে শিক্ষার্থী বাড়তেছে সে হা...

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম জিপিএ-৩ পেয়ে উত্তীর্ণ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার (স্নাতক-সম্মান) জন্য ভর্তির সুযোগ

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ন্যূনতম জিপিএ-৩ পেয়ে উত্তীর্ণ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার (স্নাতক-সম্মান) জন্য ভর্তির সুযোগ পাবেন। মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে ক্রেডিট সমন্বয়ের মাধ্যমে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গঠিত কমিটির এক সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটির ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ (ইউজিসি) সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশ দিয়েছে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা এত দিন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাড়া অন্য কোথাও প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতেন না। ক্রেডিট সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁদের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন খানকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মোট জিপিএ-৪ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপি...

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই,বাকাশিবো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল হক তালুকদার

বাংলাদেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের ঘোষিত ২০২১ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ৮ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ৯৫ ভাগই বেসরকারি, আর মাত্র ৫ ভাগ সরকারি। এই বৃহত্ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল হক তালুকদারের সাথে। প্রায় ২৩ বছরের বেশি সময় তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত। আট বছর ধরে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, তদারকিসহ নীতিনির্ধারণের কাজ করে যাচ্ছেন। কারিগরি শিক্ষায় বাংলাদেশের ভবিষ্যত্, এ দেশের তরুণ-তরুণীদের ভবিষ্যত্ এবং এই শিক্ষার ক্যারিয়ার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। আলোচনায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নানা দিক উঠে এসছে, পাশাপাশি এই শিক্ষা ব্যবস্থা তরুণ-তরুণীদের জন্য কতটুকু সম্ভাবনাময় তাও শেয়ার করেছেন তিনি। লিখেছেন মোজাহেদুল গরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় উন্নত দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে। সেই তুলনায় বলা যায়, বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে বহু দিক থেকেই। ২০০৯ সা...

কারিগরি শিক্ষায় অবহেলা ও কর্মসংস্থানে বিপর্যয়

মমিনুল ইসলাম মোল্লা শিক্ষা মানুষের জীবনকে সহজ ও সাবলীল করে তোলে। আর কারিগরি শিক্ষা ব্যক্তিকে করে স্বনির্ভর । তাই জনবহুল বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিলেও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০-এর বেশি শিক্ষক ৬ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেকারত্ব আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ। অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষ জনশক্তি আমাদের আশীর্বাদ। তাই পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার সম্প্রসারণ যতটা জরুরি তার চেয়ে বেশি জরুরি বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন। জানুয়ারি থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে ৩৮টি (এসএসসি ভোকেশনাল) স্কুল এবং ৭টি এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের। এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে মাউশির মাধ্যমে বেতন পেয়ে আসছিল। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর পৃথক হয়ে যায়। ফলে তাদের কাগজপত্র পাঠি...

কারিগরি শিক্ষা নিয়ে কিছু সঠিক ধারণা

লেখাপড়া নিয়ে এ দেশের মানুষের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষের ধারণা হচ্ছে, লেখাপড়ার অর্থ হচ্ছে মাথার মাঝে একগাদা তথ্য ঠেসে রাখা, যে যত বেশি তথ্য ঠেসে রাখতে পারে, সে লেখাপড়ায় তত ভালো। তথ্য ঠিকমতো মাথায় ঠেসে রাখতে পেরেছে কি না, সেটা যাচাই করা হয় পরীক্ষার হলে, যে যত নিখুঁতভাবে মাথার মাঝে ঠেসে রাখা তথ্যটা উগলে দিতে পারে, সে তত ভালো গ্রেড পায়, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন তাকে ধন্য ধন্য করে। অথচ মোটেও এটা লেখাপড়া হওয়ার কথা ছিল না, লেখাপড়ার পুরো বিষয়টিই হচ্ছে নতুন কিছু করার ক্ষমতা। একজন ছাত্র যে বিষয়টি আগে কখনো দেখেনি, যদি সেটাকেও সে বিশ্লেষণ করতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে, সে খানিকটা হলেও লেখাপড়া শিখেছে। আইনস্টাইন তো আর শুধু শুধু বলেননি। কল্পনাশক্তি জ্ঞান থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ধাক্কাধাক্কি করে খানিকটা জ্ঞান অর্জন করেই ফেলতে পারি, কিন্তু যদি কল্পনাশক্তি না থাকে, তাহলে সেই জ্ঞানটুকু হবে একেবারেই ক্ষমতাহীন দুর্বল জ্ঞান। কল্পনাশক্তি যদি থাকে, তাহলে সেই জ্ঞানটুকু হতে পারে অনেক বেশি কার্যকর। আমরা চোখ, কান খোলা রাখলেই তার এক শ একটা উদাহরণ দেখ...