নিজেকে কি ভবিষ্যতের একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে চিন্তা করেন? তাহলে ভবিষ্যৎ এর জন্য অপেক্ষা কেন এখনই শুরু করে দেন না।
একটা বিজননেস শুরু করতে গেলে, তার জন্য প্রস্তুতি, মার্কেট রিসার্স, কাস্টমার রিসার্স, নতুন মার্কেট জেনারেশন, প্রমোশনাল স্ট্রাটেজি ঠিক করা, ম্যানেজমেন্ট, টিম রেডি করা, দেশের সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা বোঝা, অনেক গুলো টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে হতে পারে এগুলো সম্পর্কে জানা সব মিলিয়ে বেশ সময় দরকার।
এই কাজগুলো আমি শুরু করেছিলাম ২০০৯ থেকে। তখনকার দেখা স্বপ্ন, বিজনেস প্লান, পারিপাশ্বিক অবস্থা বোঝার ক্ষমতা, ম্যানেজমেন্ট পাওয়ার,ঝুকি গ্রহণের জন্য মানষিক শক্তিমত্বা ইত্যাদিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে এতদিনে।
এর পাশাপাশি দরকার বিজনেসটা শুরুর জন্য শুরু করা। অর্থাৎ টেস্টিং মুডে স্টার্ট করা, এবং সত্যিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করা।
তুমি যদি পুকুড়ে না নেমে সাতার শেখার জন্য ১০০ টা বইও পড়ে শেষ করো খুব বেশি লাভ হবে না। বরং বই না পড়ে যদি অভিজ্ঞ সহযোগীকে সাথে নিয়ে চেষ্টা করো তবে একটা সম্ভাবনা আছে, হয়তো তুমি বই না পড়েও সাতার শিখতে পারবে। এরপর যদি এডভান্স কিছু করতে চাও তাহলে বই পড়া বা অন্য সহায়ক কাজগুলো করা যেতে পারে।
বিজনেস টাও ঠিক একই রকম। যদি কোন অভিজ্ঞ সহযোগীকে সাথে পাও খুব ভাল হয়। অামি এবং আমার টিম টেস্টিং মুড শুরু করেছিলাম প্রায় দের বছর হচ্ছে, এই দের বছরে অনেক কিছুই বুঝেছি, জেনেছি।
মনে হয় সেই সময়টা এসেছে যেখান থেকে পূর্ণাঙ্গ রূপে শুরু করা যায়।
একজন উদ্যোক্তাকে ঠিক সাপুরিয়ার মতো রোল প্লে করতে হয়। প্রাচীন কালে সাপুরিয়ারা নানা রকম তাবিজ কবচ শরীরে বেধে নিতো, নানা রকম শেকড় বাকড় খেয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে নিতো আর আধুণিক শিক্ষিত সাপুরিয়ারাও কিন্তু নানা রকম টিকা এবং প্রতিরোধক সংগ্রহে রেখে সাপ ধরতে যায়। বিজনেস শুরু করতে গেলেও এরকম অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন প্রয়োজন।
একজন উদ্যোক্তাকে যে কোন একটা টেকনিক্যাল বিষয়ে অনেক দক্ষ হতে হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। তাকে সব বিষয়ে জানতে হয়, চোঁখ কান খোলা রাখতে হয়, প্রতিদিনের ঘটনা প্রবাহ জানতে হয় এবং সব বিবেচনা করে স্ট্রাটেজি তৈরি করে পরিকল্পনা মাফিক বাস্তবায়ন করতে হয়।
নিজেই সব করবো এমন ধারণা করা মটেই ঠিক নয় বরং একটা ভালো টিম তৈরি করা এবং তাদেরকে খুশি রেখে কাজ গুলো সুষম বন্টন করে সঠিক সময়ে শেষ করার উপর সফলতা নির্ভর করে। এখন আমাদের দারুণ একটা টিম আছে।
অনেক কিছু বলে ফেললাম। থাক আরেক দিন বলবো বাঁকীটা :) আমার স্যার S M Mahfuz Alam প্রায়ই ক্লাসে বলতেন "ক্লাস কি খুব বোরিং লাগছে" । স্যারের ক্লাস গুলো খুব মিস করি এখন। কিন্তু স্যারের কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে অনেক গুলো মানুষকে সামনে রেখে সুন্দর ভাবে নিজের বিশ্লেষণটা উপস্থাপন করা যায়, সেই সাথে সবাইকে চাঙ্গা রাখা যায়। এই গুণটাও একজন উদ্যোক্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ :)
শুভকামনা রইলো সবার জন্য :)
---- অসীম কুমার পাল------
মন্তব্যসমূহ