সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কারিগরি শিক্ষায় অবহেলা ও কর্মসংস্থানে বিপর্যয়


মমিনুল ইসলাম মোল্লা

শিক্ষা মানুষের জীবনকে সহজ ও সাবলীল করে তোলে। আর কারিগরি শিক্ষা ব্যক্তিকে করে স্বনির্ভর । তাই জনবহুল বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিলেও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০-এর বেশি শিক্ষক ৬ মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেকারত্ব আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ। অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিককে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দক্ষ জনশক্তি আমাদের আশীর্বাদ। তাই পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার সম্প্রসারণ যতটা জরুরি তার চেয়ে বেশি জরুরি বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন। জানুয়ারি থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে ৩৮টি (এসএসসি ভোকেশনাল) স্কুল এবং ৭টি এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের। এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে মাউশির মাধ্যমে বেতন পেয়ে আসছিল। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর পৃথক হয়ে যায়। ফলে তাদের কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়া হয় কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে; কিন্তু আর্থিক বাজেট হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে তাদের বেতন আটকে গেছে বলে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর জানায়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ডিজি আলাদা হওয়ায় একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অদক্ষতার কারণে কাজের গতি নেই বললেই চলে। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (ভোকেশনাল) ড. খান রেজাউল করিম (দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি) জানান, বেতন প্রদানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সমর্থন দিলেই সমস্যার সমাধান হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অর্থবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে বকেয়া বেতন দেয়া হয় না। ৬ মাসের বেতন পুরোপুরি বাদ গেলে শিক্ষকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।



যারা হাতে-কলমে কাজ করে তারাই কারিগর। তারা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান লাভ করে এবং বাস্তবে সে জ্ঞান কাজে লাগায়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে ধীরে ধীরে কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। জনসংখ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পৈতৃক সম্পত্তির ওপর নির্ভর করে কৃষকের সন্তানরা জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে না। তাই বিভিন্নমুখী পেশায় জড়িত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে খাদ্য, বস্ত্র, গার্মেন্টস, কাঠজাত সামগ্রী, কাগজ ও বোর্ড, পেইন্টিং, প্যাকেজিং, ওষুধ, রাসায়নিক, রাবার, প্লাস্টিক, সিরামিকস, হোটেল, মোটেল, অটোমোবাইলস, মেশিন টুলস, যান্ত্রিক ওয়ার্কশপ, লৌহ, ধাতব, ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক স্থাপনা, রাস্তা নির্মাণ, ভবন নির্মাণ বিষয়ের চাহিদা বেশি। এসব বিষয়ে বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ানো হয়। বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও বেকারত্ব কমছে না। বরং শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণ মাধ্যমে পড়াশোনা করে শিক্ষিত তরুণরা চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ঘুরে ফিরে চাকরি না পেয়ে হতাশ হচ্ছে। কেউ কেউ বিপথগামীও হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কেউ বেকার থাকছে না। এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেখানে লেখাপড়া শেষ করার আগেই চাকরি হয়ে যায়। তাই কারিগরি শিক্ষার কদর বাড়ছে।

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে ১৭ থেকে ৫৮ শতাংশ মধ্যম চ্চরের দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়। ফলে এসব দেশের মানুষের বার্ষিক আয় ৭ হাজার থেকে ৪২ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বাংলাদেশে মাত্র ২ শতাংশ মধ্যম চ্চরের দক্ষ জনসম্পদ তৈরি হচ্ছে। ফলে মাথাপিছু আয় কম। আমাদের দেশে যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে হারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাই আমাদের বিদেশের বাজার খুঁজতে হয়। কিন্তু সেখানে অদক্ষ শ্রমিকের কোন মূল্য নেই। ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশে আমাদের দেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ভালো চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন কারিগরি কোর্স নেই। মাধ্যমিক পর্যায়ে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে রয়েছে এইচএসসি ভোকেশনাল এবং এইচএসসি বিএম। বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে সরকারি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ৪৮টি, কৃষক প্রশিক্ষক ইন্সটিটিউট ১৩টি, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ৬টি, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ১টি, এবং সার্ভে ইন্সটিটিউট ২টি। তাছাড়া রয়েছে ৩৫টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, ৬৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে ৯৭টি কৃষি ডিপ্লোমা এবং ১২৮টি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। দেশে গার্মেন্টস শ্রমিকের কোটা রয়েছে ৭০ হাজার। কিন্তু সে অনুযায়ী দক্ষ শ্রমিক গড়ে উঠছে না। তবে বর্তমানে তেজগাঁও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়ায় প্রতি বছর বহু দক্ষ কর্মী গড়ে উঠবে। বর্তমানে দেশের ৯১টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে। এছাড়া ৫০০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি বিষয় পড়ানো হচ্ছে। মাদরাসাগুলোর মধ্যে ১০০টিতে দাখিল পর্যায়ে ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে সহস্রাধিক বিদ্যালয়ে এসএসসি ভোকেশনাল কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়া ২০০টি বেসরকারি কলেজে এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেশি। তারা ইঞ্জিনিয়ারদের অধীনে কাজ করেন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন ইঞ্জিনিয়ারের অধীনে ৫ জন ট্রেডসম্যান কাজ করেন। পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৪ বছর মেয়াদি এ ধরনের কোর্সে যে কোন বিভাগ থেকে জিপিএ ২ পেলেও ভর্তি হওয়া যায়।

কিছু সমস্যার কারণে বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শিক্ষক সংকট, ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণের স্বল্পতা, সনাতনধর্মী সিলেবাস, শিক্ষাদানে সনাতন পদ্ধতি, কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বয়হীন শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দূরদর্শিতার অভাব, সংশ্লিষ্ট বিভাগে কাজের সুযোগ কম। এসব কারণে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কারিগরি শিক্ষায় আসতে চাচ্ছে না। শুধু ডুয়েট ছাড়া তাদের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কোন কোটা নেই। এ কারণে এসএসসি পাসের পর অনেকে সাধারণ শিক্ষায় চলে আসে। এছাড়া আরেকটি বিশেষ সমস্যা হচ্ছে- উন্নয়নমুখী প্রজেক্টগুলোতে শুধু বিল্ডিংই তৈরি হচ্ছে। কোন কোন সময় দেখা যায়, বিল্ডিং বানাতে বানাতেই প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে শিক্ষকরা চাকরি হারান এবং ছাত্ররা দিশেহারা হয়ে যায়। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীন ৬টি প্রকল্পে কর্মরত সবার চাকরি রাজস্ব খাতে নেয়ার কথা থাকলেও এখনও নেয়া হয়নি। এ প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ধরনের বহু প্রকল্প চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কারিগরি শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

নতুন শিক্ষানীতিতে সরকার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নীতি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সংস্কার (টিভিইটি) প্রকল্পের মাধ্যমে একটি দক্ষতা উন্নয়ননীতি প্রণয়ন করেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সরকার বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় কারিগরি শিক্ষা খাতে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করবে। বেসরকারি ৩০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫৩৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন করতে হলে মানুষ গড়ার কারিগরদের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যারা শিক্ষা দেবেন তারা যদি মাসের পর মাস অভুক্ত থাকেন, তাহলে তারা কিভাবে সত্যিকারের শিক্ষা দেবেন? জনসংখ্যাবহুল ও বেকারত্বপীড়িত বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।