সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

টমেটো সস এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ার আমি

ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ে পড়ছি মহাবিপদে! এ বিষয়টা নিয়ে আমার নিজেরি কৌতূহল আজও শেষ হয়নি সেখানে আমজনতার শেষ হবেনা এটাই স্বাভাবিক! শুরুটা হয় এভাবে-
- ‘তোমাদের কি কি শেখায়?’
-মাল্টি ইঞ্জিনিয়ারিং! 

কিন্তু এ সহজ এবং চরম সত্য উত্তরটা কখনই প্রশ্নকর্তাকে খুশি করতে পারেনা! তাই বাধ্য হয়েই বলতে হয়...
- চানাচুর, বিস্কুট, চকলেট, ক্যান্ডি, পাউরুটি, চিপস, ক্রাকার্স, আইসক্রিম, জ্যাম, জ্যালি, পিকেল, সস, কেচাপ, জুস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ... ... ...!
- কিভাবে বানায় এগুলো?
- ভিন্ন ভিন্ন প্রডাক্টের জন্য আমরা ভিন্ন ভিন্ন মেথড অ্যাপ্লাই করে থাকি। সব গুলো এখনো শিখি নি, তবে জ্যাম-জ্যালি-সস-কেচাপ এগুলো বানাতে পারি।
তারপর কিছু ইনগ্রেডিয়েন্টস এর নাম আর ম্যানুফেকচারিং প্রসিডিওর বললেই মুক্তি ।

কিন্তু...

ঘটনা আজকাল আর এখানেও থেমে থাকে না! বড় আম্মুকে জ্যাম-জ্যালি, সস-ক্যাচাপের গল্প শুনিয়েছিলাম গতকাল। উনি ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিবেন আশা করি নি। বলা নেই কওয়া নেই উনি টমেটো নিয়ে হাজির! সস বানিয়ে দিতে হবে!

পড়লাম মহাবিপদে! সস বানানো শিখেছিলাম সেই টু ওয়ানে। এক বছর আগের কথা! তাও আবার নিজে বানাইনি! হালকা হালকা যা মনে আছে তা দিয়ে যাই হোক অন্তত সস বানানো সম্ভব না! ইকুইপমেন্টস অথবা ইনগ্রেডিয়েন্টস এর দোহাই দিয়ে পার পাব সে উপায়ও নেই! সব কিছুই উনি সংগ্রহ করে ফেলেছেন! ফুড ইঞ্জিনিয়ার এর অপমান বুঝি এবার পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়!

‘রাখে আল্লাহ্‌ মারে কে?’! ‘গুগল’ মামা থাকতে ভাবনা কিসের? কয়েক সেকেন্ডেই পাঁচ-সাতটি মেথড পেয়ে গেলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে কোনটার সাথে কোনটার মিল নেই! অনেকেই আবার অলিভ অয়েলের সাথে গাঁজর কুঁচিও ইউজ করেছেন! থাক সে কথা...

সব ক’টি মেথডের কম্বিনেশনে নতুন একটি মেথড আবিষ্কার করে ফেললাম। অ্যাপ্লিকেশনটাও শুরু করে দিলাম সাথে সাথে! এক্সপেরিমেন্ট চলছে...! কিছুক্ষণের মধ্যেই সস ফ্লেভার দেয়া শুরু করলো! আমাকে আর পায় কে! নিজেকে অবাক করে দিয়ে দু’ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরী করে ফেললাম জীবনের প্রথম – ‘হট টমেটো সস!!!’

অবশেষে ঝড়ে বক মরিল... আর আমার কেরামতি এতটাই বেড়ে গেল যে বড়আম্মু আনারস খোঁজা শুরু করে দিলেন! ওনার সকালের টার্গেট জ্যাম জ্যালি!
কিন্তু ঈদের দিন যে প্রতিদিন আসে না... আর ঝড়েও যে প্রতিদিন বক মরে না! ফ্যাক্টর অব সেইফটি বলে একটা কথা আছে না? কি বুঝলেন?
আরে আমি এখন ক্যাম্পাসে! সকালে উঠেই চলে এসেছি! :P

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।