সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডিপ্লোমা পাশ করেই করা যাবে MBA


চমকে যাবার কিছু নেই ঘটনা সত্য । আজ সারাদিন বিভিন্ন যায়গা ঘুরে নিজে শিওর হলাম । এ বিষয়ে গত বছর আইডিইবি ও বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ড তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইটে নোটিশ দিয়েছিলো । 
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাপ্য সম্মান দিতেই এমন সিদ্ধান্ত । 
ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহৃত হবে আইডিবি ভবন । তবে সার্টিফিকেট হবে আন্তর্জাতিক মানের । যার মুল্য পৃথীবির সর্বত্র রয়েছে । 
এই সার্টিফিকেট প্রদান করবে University Of derby . 
এটি লন্ডনের হলেও এর মান যুক্তরাষ্ট সহ প্রায় সারাবিশ্বে রয়েছে । ডার্বির ক্যাম্পাস আছে প্রায় ৪০ টি দেশে ।
সার্বিক সহযোগীতায় থাকবে BAC university।
এক্ষেত্রে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ২ বছর মেয়াদী এই কোর্স শেষ করার পর
এমবি এ এর সার্টিফিকেট পাবেন । অনার্স কিংবা ডিগ্রি করতে হবে না ।
এই ২ বছর কোর্সে তাকে এডভান্স ডিপ্লোমা নামে একটি কোর্স ও শেষ করানো হবে ।
তবে তা ২ বছরের মদ্ধেই । ৩ মাসে এক সেমিস্টার হিসেবে দুই বছরে মোট আটটি সেমিষ্টার সম্পন্ন করতে হবে ।
গত বছর এই কোর্সটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয় ।
গত বছর জুন মাসে অনুমোদন পত্রে সাক্ষর করেন মাননীয় শিক্ষা সচিব ।
এর পর অক্টোবর সেশনে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় আইডিইবির নিজস্ব ওয়েব সাইটে । ভর্তিও হয় অনেক ছাত্র ছাত্রী ।
কিন্তু কিছুদিন পর আইডিবির নির্বাচন থাকায় পিছিয়ে যায় ভর্তি কার্যক্রম ।
এর মদ্ধ্যে বিভিন্ন সমস্যার কারনে আপাতত এই বছর থেকে আর শুরু করা যাচ্ছে না
এমনটাই আমাকে নিশ্চিত করেন আইডিবির সভাপতি ও
একাডেমিক সেকশন থেকে ।
তারা জানান প্রথমে এর কোর্স ফি ২৫০০০০ টাকা ধরা হলেও পরে তা
৩০০০০০ টাকা করতে অনুরোধ জানায় সংযুক্ত বিশববিদ্যালয় গুলো ।
তবে আইডিবি চাচ্ছে তা আড়াইলাখ এর মদ্ধ্যে রাখতে ।
তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হতে ।
তবে তিনি বলেন আগামী বছর শুরুর দিকেই ভর্তি শুরু হবে তাতে সন্দেহ নেই ।
এবং তিনি আরো জানান গতকাল এই বিষয় নিয়েই মিটিং হয়েছিল । এবং সেখান
থেকে তার তাদের প্রস্তাবের সম্মতিসুচক ইংগিত পেয়েছেন ।
তাই আমরা আশা রাখতে পারি আগামী বছর শুরুর দিকেই আগ্রহীরা ভর্তি হতে পারবেন ।
এ ব্যাপারে কারো সন্দেহ থাকলে শিক্ষাবোর্ড বা আইডিইবির ওয়েব সাইট দেখুন ।
অথবা সরাসরি আইডিইবি ভবনে গিয়ে দিতীয় তলায় ১০৭ নাম্বার রুমে যোগাযোগ
করুন।

পকেটের টাকা খরচ করে সারাদিন দৌড়ঝাপ করে আপনাদের জন্য এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছি ।
কোন বিনিময় চাই না । শুধু চাই আমাদের সব ডিপ্লোমেট ভাইয়েরা সঠিক তত্থ্য পাক ।
প্লিজ শেয়ার করুন ।

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
IDEB এবং BAC এর সম্পাদিত এই চুক্তি এই পর্যন্ত মস্তবড় একটা অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে।BAC এর ভাষ্য অনুযায়ী,BAC এবংDerby University এর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল,তাতে Derby University সাকুল্যে ৬০ জন ছাত্র চেয়েছিলো।কিন্তু IDEB সেখানে মাত্র ২০ জন ছাত্র দিতে পেরেছিলো।এত বড় একটা সুযোগ শুধুমাত্র প্রচারনার অভাব নাকি অন্যকোন কারনে মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছে আল্লাই মালুম।
Unknown বলেছেন…
but,, ideb should arrange 1st an undergraduate degree then postgraduate,,,
the reason of every diploma holder 1st need a graduation level for face in better job recruitment. & also build his engineering career

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।