বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় ৮৭ বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে নতুন করে শোকজ করেছে সরকার। নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়া ইস্যুতে দফায় দফায় তাগিদপত্র ও শোকজ লেটার দেয়ার পরও কোনো ধরনের জবাব না পাওয়ায় ফের শোকজ দেয় কারিগরি শিক্ষাবোর্ড। এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদান স্বীকৃতি বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি সেক্টরের বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটে চরম অরাজকতা চলছে। বোর্ড ও বেসরকারি মালিকদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বেসরকারি এ খাত। সাইক, শ্যামলী আইডিয়ালের মতো চারটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকায় কারিগরি শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করা এ সেক্টর নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের একাধিক শোকজ করেও জবাব পায়নি বোর্ড। বাধ্য হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৪৬১টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকলেও সবাই নাজুক অবস্থা। প্রথম সারি ৩০-৩৫টি বাদ দিলে বাকি ৪ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপরও থেমে নেই নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন। বোর্ড ও বেসরকারি পলিটেকনিকের একটি সিন্ডিকেট নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না সরকার। সর্বশেষ নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যর্থতায় স্বীকৃতি/পাঠদান কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে ১ মাসের মধ্যে জবাব চেয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে ৮৭ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে শোকজ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৩৬টি প্রতিষ্ঠান এর জবাব দিয়েছে।
জানা গেছে, এর আগেও ২০১৩ সালে এক মাস সময় বেঁধে দিয়েও একই ধরনের শোকজ দিয়েও জবাব পায়নি বোর্ড। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও মান রক্ষায় এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেয়ার সময় শর্ত ছিল নির্ধারিত সময়ে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থানান্তর করবে। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তা করেনি। একাধিকবার তাদের নোটিশ দিয়েও নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিতে পারেনি। সর্বশেষ তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাও অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শোকজের জবাব পর্যন্ত দেয়নি। এভাবে তাদের চলতে দেয়া যায় না। তিনি বলেন, যারা জবাব দিয়েছে তা দেখা হচ্ছে। যারা জবাব দেয়নি তাদের একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল করার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে কারিগরি বোর্ডের পরিদর্শক প্রকৌশলী আবদুল কদ্দুস সরদার এই ৮৭টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে ২০ই মার্চ নিজস্ব জমিতে যাওয়ার জন্য আপনাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি এর জবাব পাওয়া যায়নি। যা ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম পরিচালনার নীতিমালা ৩৫.৩ ধারা পরিপস্থী। এ অবস্থায় কেন আপনার প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি স্থগিত বা বাতিল করা হবে না তার জবাব দিতে হবে। এই জবাব দেয়ার জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়। নিজস্ব জমিতে না যাওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক সমস্যা, নিজস্ব জমিতে গেলে শিক্ষার্থী না পাওয়া, যোগাযোগব্যবস্থা খারাপের কথা বলা হয়েছে মালিকদের পক্ষ থেকে।
বোর্ডের পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তারা জানান, এক মাসেও অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানে জবাব পাওয়া যায়নি। যারা জবাব দিয়েছে তাও সন্তোষজনক না। এ অবস্থায় বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি সাময়িক স্থগিত করতে পারে বোর্ড।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের উপ-পরিদর্শক বিজয় কুমার নাথ বলেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার তাগদা দেয়ার কারণ কারিগরি শিক্ষার মান রক্ষা করা। সরকার এ শিক্ষাকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে কারিগরিতে ভর্তির হার ২০ ভাগের বেশি করার জন্য কাজ করছে। আমরা চাই ভর্তির হার বাড়ার পাশাপাশি মান যেন ঠিক থাকে। কিন্তু এখানে কিছু বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে এটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মান রক্ষা করা যাবে। তিনি বলেন, সর্বশেষ বোর্ড থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের জমি সংত্রুান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখানে জমির মৌজা, খতিয়ান, জমির পরিমাণ, দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রার অফিসের নাম ঠিকানা, নামজারির তারিখ এবং সর্বশেষ খাজনা দেয়ার তারিখ ইত্যাদি বিষয় চাওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় অনুযায়ী, একটি পলিটেকনিক স্থাপনের জন্য ১৫০ থেকে ২শ’ বর্গফুট বিশিষ্ট ৯টি সাধারণ কক্ষ, প্রতিটি টেকনোলজির জন্য ৪টি শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের বসার জন্য দুটি পৃথক কক্ষ, পদার্থ ও রসায়নের জন্য ২শ’ বর্গফুটের জন্য ২টি পৃথক কক্ষ থাকতে হবে। এ ছাড়া সিভিল/আর্কিটেকচার কোর্সের জন্য ৪০০ থেকে ৬শ’ বর্গফুটের ১০টি ল্যাবরেটরি/ওয়ার্কশপ, মেকানিক্যাল টেকনোলজির জন্য ৪শ’ থেকে ৬শ’ বর্গফুটের ৮টি, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির জন্য ৬টি, ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির জন্য ৫টি, কম্পিউটার টেকনোলজির জন্য ৬টি, পাওয়ার টেকনোলজির জন্য ৫টি পৃথক ল্যাবরেটরি/ওয়ার্কশপ থাকতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি সেক্টরের বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটে চরম অরাজকতা চলছে। বোর্ড ও বেসরকারি মালিকদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বেসরকারি এ খাত। সাইক, শ্যামলী আইডিয়ালের মতো চারটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকায় কারিগরি শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করা এ সেক্টর নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের একাধিক শোকজ করেও জবাব পায়নি বোর্ড। বাধ্য হয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৪৬১টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থাকলেও সবাই নাজুক অবস্থা। প্রথম সারি ৩০-৩৫টি বাদ দিলে বাকি ৪ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপরও থেমে নেই নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন। বোর্ড ও বেসরকারি পলিটেকনিকের একটি সিন্ডিকেট নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না সরকার। সর্বশেষ নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যর্থতায় স্বীকৃতি/পাঠদান কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে ১ মাসের মধ্যে জবাব চেয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে ৮৭ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে শোকজ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মাত্র ৩৬টি প্রতিষ্ঠান এর জবাব দিয়েছে।
জানা গেছে, এর আগেও ২০১৩ সালে এক মাস সময় বেঁধে দিয়েও একই ধরনের শোকজ দিয়েও জবাব পায়নি বোর্ড। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদের পাঠদানের স্বীকৃতি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও মান রক্ষায় এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেয়ার সময় শর্ত ছিল নির্ধারিত সময়ে নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস স্থানান্তর করবে। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তা করেনি। একাধিকবার তাদের নোটিশ দিয়েও নিজস্ব ক্যাম্পাসে নিতে পারেনি। সর্বশেষ তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাও অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শোকজের জবাব পর্যন্ত দেয়নি। এভাবে তাদের চলতে দেয়া যায় না। তিনি বলেন, যারা জবাব দিয়েছে তা দেখা হচ্ছে। যারা জবাব দেয়নি তাদের একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল করার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাসে কারিগরি বোর্ডের পরিদর্শক প্রকৌশলী আবদুল কদ্দুস সরদার এই ৮৭টি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে ২০ই মার্চ নিজস্ব জমিতে যাওয়ার জন্য আপনাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি এর জবাব পাওয়া যায়নি। যা ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম পরিচালনার নীতিমালা ৩৫.৩ ধারা পরিপস্থী। এ অবস্থায় কেন আপনার প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি স্থগিত বা বাতিল করা হবে না তার জবাব দিতে হবে। এই জবাব দেয়ার জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়। নিজস্ব জমিতে না যাওয়ার কারণ হিসেবে আর্থিক সমস্যা, নিজস্ব জমিতে গেলে শিক্ষার্থী না পাওয়া, যোগাযোগব্যবস্থা খারাপের কথা বলা হয়েছে মালিকদের পক্ষ থেকে।
বোর্ডের পরিদর্শন শাখার কর্মকর্তারা জানান, এক মাসেও অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানে জবাব পাওয়া যায়নি। যারা জবাব দিয়েছে তাও সন্তোষজনক না। এ অবস্থায় বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এসব প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি সাময়িক স্থগিত করতে পারে বোর্ড।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের উপ-পরিদর্শক বিজয় কুমার নাথ বলেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার তাগদা দেয়ার কারণ কারিগরি শিক্ষার মান রক্ষা করা। সরকার এ শিক্ষাকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে কারিগরিতে ভর্তির হার ২০ ভাগের বেশি করার জন্য কাজ করছে। আমরা চাই ভর্তির হার বাড়ার পাশাপাশি মান যেন ঠিক থাকে। কিন্তু এখানে কিছু বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে এটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মান রক্ষা করা যাবে। তিনি বলেন, সর্বশেষ বোর্ড থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের জমি সংত্রুান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখানে জমির মৌজা, খতিয়ান, জমির পরিমাণ, দলিল নম্বর, রেজিস্ট্রার অফিসের নাম ঠিকানা, নামজারির তারিখ এবং সর্বশেষ খাজনা দেয়ার তারিখ ইত্যাদি বিষয় চাওয়া হয়েছে।
নীতিমালায় অনুযায়ী, একটি পলিটেকনিক স্থাপনের জন্য ১৫০ থেকে ২শ’ বর্গফুট বিশিষ্ট ৯টি সাধারণ কক্ষ, প্রতিটি টেকনোলজির জন্য ৪টি শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের বসার জন্য দুটি পৃথক কক্ষ, পদার্থ ও রসায়নের জন্য ২শ’ বর্গফুটের জন্য ২টি পৃথক কক্ষ থাকতে হবে। এ ছাড়া সিভিল/আর্কিটেকচার কোর্সের জন্য ৪০০ থেকে ৬শ’ বর্গফুটের ১০টি ল্যাবরেটরি/ওয়ার্কশপ, মেকানিক্যাল টেকনোলজির জন্য ৪শ’ থেকে ৬শ’ বর্গফুটের ৮টি, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির জন্য ৬টি, ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজির জন্য ৫টি, কম্পিউটার টেকনোলজির জন্য ৬টি, পাওয়ার টেকনোলজির জন্য ৫টি পৃথক ল্যাবরেটরি/ওয়ার্কশপ থাকতে হবে।
লেখকঃ নাজিউর রহমান সোহেল, ভোরের ডাক
কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক পরবর্তি পর্বের লিখা পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। চাকরি ও ক্যারিয়ার বিষয়ক আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপেঃ https://facebook.com/groups/pesshl/
মন্তব্যসমূহ