সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্কলারশীপের মাধ্যমে চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাচ্ছেন ৩৪৯ শিক্ষার্থী

Image aligned to the right
বাংলাদেশে এই প্রথমবার ৩৪৯ জন কারিগরি শিক্ষার্থী বিদেশি সরকারের স্কলারশিপ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৩১৮ জন ছাত্র এবং ৩১ জন ছাত্রী। চীনের ১০টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন এসব শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীন সরকার নিজস্ব পদ্ধতিতে বাছাই করে এসব শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দিয়েছে। সেখানে উচ্চতর ডিগ্রিতে অধ্যয়ন ও পরবর্তীতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এরা দেশের সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করছিল।
কারিগরি ক্ষেত্রের ৩৪৯ জন শিক্ষার্থীর অরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চীন, জাপান, জার্মান অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ প্রতিটি উন্নত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, তাদের প্রত্যেকের কারিগরি শিক্ষার্থীর এনরোলমেন্ট হার ৬০ শতাংশের বেশি। আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষা অত্যন্ত পিছিয়ে ছিল। ২০০৯ সালের আগে কারিগরি শিক্ষার এনরোলমেন্ট ছিল এক শতাংশের নিচে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে তা ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপে বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে ৪২০ জন এবং পরে আরও ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। চীনের গুয়াংজুতে ৫৮১ জন শিক্ষকের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ চলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাসচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) বিষয়ক লিখা পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। চাকরি ও ক্যারিয়ার বিষয়ক আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।