সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গণপ্রকৌশল দিবসের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি

গণমানুষের সামগ্রিক মুক্তির জন্য প্রযুক্তির গণমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)। 

গণপ্রকৌশল দিবস ১৩ ও আইডিইবির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। এতে আরো ছিলেন সহ-সভাপতি একেএম আবদুল মোতালেব, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান খান, খন্দকার মাইনুর রহমান, আতিয়ার রহমান, সাইদুর রহমান, মো. শামসুল হক, গিয়াস উদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান নয়ন, মো. রেহান মিয়া, সাদিয়া সুলতানা, ঢাকা জেনিক সভাপতি মো. খবির হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহার এবং এর সুফল জনমানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সামাজিক আন্দোলন ও জনমত সৃষ্টির বিকল্প নেই। এ জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি এ সেক্টরে নিয়োজিত কর্মীদের বিশেষ দায়বোধ রয়েছে। এ কারণে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে এ দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

গণপ্রকৌশল দিবসের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় আইডিইবি ভবনে র‌্যালির শুভ উদ্বোধনসহ আলোচনা সভা, জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়া, একাধিক জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, এটিএন বাংলা ও দেশ টিভিতে আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার, ১০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় নবীন প্রবীণ সদস্য প্রকৌশলী ও পরিবারের সদস্যদের পারিবারিক সম্মেলন, ১৩ নভেম্বর বিকেল ৩টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে ঢাকায় আইডিইবি ভবনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য গণমুখী প্রযুক্তি-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা।

৮ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা সদরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা, ৯ থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সব জেলায় নবীন-প্রবীণ সদস্য প্রকৌশলী ও পরিবারের সদস্যদের সম্মেলন, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত সদস্য প্রকৌশলীদের সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।