সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কারিগরি ৫ লক্ষ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে প্রকল্প সংশোধন

দেশের শিল্পে কাজে লাগাতে এবং বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে সরকার প্রতিবছর ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দিতে চলমান ‘স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’ শীর্ষক ৬৩৪ কোটি টাকার প্রকল্পটি আবার সংশোধন হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৭৮২ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব মঙ্গলবার একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন। বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। সংশোধিত প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে দেশে ও বিদেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়লেও বাংলাদেশের বিদ্যমান কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো তা পূরণ করতে পারছে না। এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেই সরকার ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘স্কিলস অ্যান্ড এসটিইপি প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সালে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৩৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিডা) ৫৭৩ কোটি টাকার জোগান দেয়। ২০১৩ সালে ব্যয় ৮৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। এবার ৯৩২ কোটি টাকা যোগ করা হয়েছে প্রকল্পটিতে। প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। এই অতিরিক্ত অর্থের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ১০ কোটি ডলার দিতে রাজি হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, অতিরিক্ত অর্থের ৫০ ভাগই শিক্ষার্থীদের বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি ৫৭টি ভোকেশনাল, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ ২৩ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।