সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্বপ্নীল ক্যারিয়ার মেরিন ইঞ্জিনিয়ার

একটা সময় একাডেমিক পড়ালেখা শেষ করেই সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ ছিল। এখন আর সে সময় নেই। এখন সব ক্ষেত্রেই এসেছে পরিবর্তন। মানুষ চায় নতুন কিছু, চায় আধুনিকতার ছোঁয়া। চাকরি জীবনেও এই পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। এখন অনেক বিষয়েই পড়ালেখার সুযোগ হয়েছে, যেসব বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করেই চাকরি পাওয়া সম্ভব। আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না থাকায় ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে পারছে না। পড়ালেখার মূল লক্ষ্য জ্ঞান অর্জন হলেও চাকরির বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়ে থাকে। একটা সময় পর্যন্ত পড়ালেখার ইচ্ছের বিষয় জানতে চাইলেও বলা হতো ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা। তবে প্রতিযোগিতার এই সময়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার সুযোগ সবার হয় না। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রেই সহায় হতে পারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং। ভালো আয়-রোজগারের পেশাগুলোর মধ্যে জাহাজ পরিবহন সংস্থা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অন্যতম। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই পরিবাহিত হয় শিপিং ইন্ডাস্ট্রি দ্বারা। বিশ্ব অর্থনীতিতে বার্ষিক আয়ের প্রায় ২০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার আসে ৫০,০০০ মার্চেন্ট শিপ থেকে। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশের ওয়ার্ল্ড ফিড নিবন্ধিত প্রায় তের লাখ সিফেয়ারার্স সারা বিশ্বে শিপিংয়ে কর্তব্যরত, যার বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তাই উন্নত দেশগুলোর। তবে ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মকর্তা এবং বেশিরভাগ রেটিং তাদের যারা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আরও তথ্য জানতে ফোন করতে পারেন ০১৮৪১১৬১১৬১, ০১৭৩১০০৬৯৮৯ নম্বরে।

বর্তমান আন্তর্জাতিক জাহাজ শিল্পে ১ লাখ মেরিন কর্মকর্তা ও ৫ লাখ নাবিকের তীব্র সংকট রয়েছে। এ সুযোগ নিতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার মেরিন অফিসার তৈরি করা দরকার। আমাদের পাশের দেশ ভারত ২০০৯ সনে ৮৭,০০০ এবং চীন ২০০৯ সনে ১,৫৫,০০০ উপরে মেরিন অফিসার ও নাবিক তৈরি করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পড়াশোনার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই একে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে স্বাচ্ছন্দ্যে।

ভর্তির যোগ্যতা :গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫ এবং ইংরেজিতে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে অথবা আইইএলটিএস গড় স্কোর ৫.৫ থাকতে হবে এই বিষয়ে পড়তে।

স্কলারশিপ :উভয় পরীক্ষায় সব বিষয়ে জিপিও ৫ প্রাপ্তদের জন্য সর্বমোট খরচ ৮,৫০,০০০ টাকা। ভর্তি ফি ৩০,০০০ টাকা থেকে ৪২,৫০০ টাকা। আর অন্যদের সর্বমোট খরচ ১০,৫০,০০০ টাকা। যোগাযোগ :ওয়েস্টার্ন মেরিন একাডেমি রূপসী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

Nahid, ittefaq

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।