সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফেসবুকের প্রথম বাংলাদেশী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেহেদি বখত

ফেসবুকে কর্মরত বাংলাদেশী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মেহেদি বখত। তিনি ফেসবুকের মেসেজিং টিমে কাজ করছেন। মেহেদি বখত প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সেখানে ২০১২ সালে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনিসহ পাঁচজন বাংলাদেশী ফেসবুকে কর্মরত আছেন। মেহেদি বখত মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৯৮ সালে এইচএসসি শেষ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে তার পিএইচডি শেষ করে ২০১২ সালের ফেব্র“য়ারিতে ফেসবুকে যোগদান করেন। এ সময় তিনি প্রিয়.কম টিমের সঙ্গে ফেসবুকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কিভাবে ফেসবুকে ইন্টার্ন এবং ইঞ্জিনিয়ার নেয়া যায়, সেই সব বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি। তুলে ধরেন বিশ্বের সবচে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন বিষয়াদি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেসবুক গ্রাহক চাহিদার ওপর নির্ভর করে প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। পেইজ ভ্যারিফাইয়ের ব্যাপারে মেহেদি বলেন, ফেসবুকের পক্ষে সম্ভব নয় তার সব গ্রাহককে ভ্যারিফাই করা। তাই আমরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করি। যেমন, ফ্যানপেইজে ফলোয়ার সংখ্যা, লাইক, কমেন্ট ইত্যাদি খেয়াল করি আমরা। এরপর গ্রাহকের পক্ষ থেকে একটা চিঠি দিতে হয় আমাদের কাছে। তারপরই আমরা একটা পেইজ ভ্যারিফাই করে সবুজ টিক চিহ্ন দিয়ে দিই। তথ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কখনোই চাই না গ্রাহকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক। এ কারণে আমরা, ফেসবুকে কর্মরতরা খুব বেশি পরিমাণে ফেসবুক ব্যবহার করি, যাতে আমরা ত্র“টিগুলো ধরতে পারি। কর্মস্থল কেমন হওয়া উচিত- এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদি রসিকতা করে বলেন, আমরা আমাদের স্ত্রীদের চেয়ে কর্মস্থলে সময় বেশি দিই। কাজেই কর্মস্থল এমন হওয়া উচিত, যাতে তা আমার জন্য অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের হয়। এবিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুক, গুগল এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, সেখানে কর্মরত সবাই নিজের কোম্পানি মনে করতে বাধ্য। কাজ করার স্বাধীনতা, সবার সঙ্গে সবার বন্ধুসুলভ আচরণসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে কেউ এখানে কাজ করলে যেন ভালোবাসা থেকেই করে। মেহেদি বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে এমন অনেক কোম্পানি আছে, যেখানে নিজের মতো কাজ করার পরিবেশ নেই। সেখানে মানুষ দায়সারাভাবে শুধু নিজের কাজটাই করে। সেসব কোম্পানি কিন্তু সামনে আসতে পারে না।
এম. মিজানুর রহমান সোহেল

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।