সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলাদেশের সব সময়ের সেরা পলিটেকনিকগুলো নাম ও তাদের ভর্তি পয়েন্ট জানুন

    বাংলাদেশের সব সময়ের সেরা পলিটেকনিকগুলোর নিয়ে আলোচনা করা হলঃ


১. ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
এটি সবচেয়ে পুরাতন,সবচেয়ে বড়, বিশাল বিশাল ল্যাব, বেশিরভাগ শিক্ষকই বোর্ড ও মন্ত্রণালয় এর বিভিন্ন প্রজেক্ট ও কাজের সাথে সংযুক্ত। বেশিরভাগ সিনিয়র শিক্ষকদের নিজের লেখা অনেক বই বাজারে প্রচলিত রয়েছে। নানা ট্রেনিং, প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ। চাকরির ক্ষেত্রে স্যাররা রেফার করেন ও সব জায়গায় অগ্রাধিকার থাকে। ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির সমস্ত পরিক্ষা প্রায় এখানেই হয়ে থাকে।
২। রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
একমাত্র শিক্ষার উপযুক্ত এলাকা। সারা দেশের মানুষ এখানকার শিক্ষার পরিবেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে। এখানেও ঢাকার প্রায় সব সুবিধাই পাওয়া যায়। স্যাররা প্র্যাক্টিক্যাল মার্কস ভালো দেন। লেখাপড়ার খরচ কম। মাত্র ৩০০০ টাকায় খুব ভালোভাবে থাকা খাওয়ার সুবিধা পাবেন।
৩। বগুরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
পলিটেকনিকের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেকে সব সময় শক্ত অবস্থানে রাখে এই পলিটেকনিক। ক্যাম্পাসটাও তাই যথেষ্ঠ সুন্দর। রাজশাহীর মত এখানেও কম খরচে থাকতে পারবেন। তবে পরিবেশগত দিক থেকে ঢাকার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায়। বগুরার পলিটেকনিক এ অনেক বিদেশী ফান্ডিং হয়। পড়াশুনার চাপ বেশিই থাকে। রেজাল্টের দিক থেকে মাঝে মাঝে ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যায়।
৪। টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
ঢাকার কাছের জেলা টাঙ্গাইল। লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধায় ভরা এ জেলা। অনেক মেধাবীদের স্থান এই টাঙ্গাইল। পলিটেকনিকের রেজাল্ট ই তাই বলে দেয়। টিচাররা  নাকি অনেক হেল্পফুল, এমনটাই শোনা যায়। কম্পিটিশন বেশ ভালো।
৫। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
৬। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
৭। চট্রগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট

****এই সেরাগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনি ৩.৫ নিয়ে আবেদন করতে পারলেও- আপনাদের এস.এস. সি তে মিনিমাম ৪.৭৫ লাগবে। আর সিভিল সাবজেক্ট নিতে গেলে ৮০+, ইলেক্ট্রিক্যাল ৭০+, অন্যান্য ৬৫+ পয়েন্ট লাগবে ১০০ এর মধ্যে। পয়েন্ট মার্ক ৫০ ও ভর্তি পরিক্ষা ৫০ মিলে টোটাল ১০০ মার্ক।
উপায়ঃ
***যদি কোন কারণে আপনার এস.এস.সি পয়েন্ট কম থাকে তবে আপনি আপনার সাবজেক্ট চয়েজ ভালো দিন আর পলিটেকনিক চয়েজ ওই সেরা পলিটেনিকগুলোতে না দিয়ে—ফেনী, পাবনা, লক্ষীপুর, রংপুর,ময়মনসিং দিবেন। এরপর ভর্তি হয়ে যাবেন। প্রথম সেমিস্টারে ৪.০০ পয়েন্ট এর মধ্যে যেমন করেই হোক ৩.২০-৩.৫০ পয়েন্ট রাখবেন। তারপর ট্রান্সফার আবেদন করুন উপরের এই সেরা পলিটেকনিকগুলোর একটিতে। আর কিছু টাকা খরচ করে ও সিম্পল সাবজেক্ট ভিত্তিক ভাইভা দিয়ে আপনি হয়ে যান সেরা পলিটেকনিকগুলোর মধ্যে যেকোনো একটির গর্বিত ছাত্র।

আরো জানতে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করুন..................

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
Diploma পড়ার পর কি BCS পরীক্ষা দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে ?
Unknown বলেছেন…
আমি আর্কিটেকচার নিয়ে পড়া শেষে বি.এস.সি যদি ইলেক্ট্রিক্যাল নিয়ে করি তাহলে কি কোনো প্রোব্লেম হবে???
Unknown বলেছেন…
আমি আর্কিটেকচার পড়তেছি। আমি যদি ইলেক্ট্রিক্যাল নিয়ে বি.এস.সি করি তাহলে কি কোনো প্রোব্লেম হবে??

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।