সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয় বললেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী

ইঞ্জিনিয়ারদের দিকে যতই আঙুল তোলা হোক ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতিকে ইঞ্জিনিয়ারদের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হবে। মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ৭৬৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন বর্তমানে সে বাজেট গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ কোটি টাকায়। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিকে স্মরণ করিয়ে বিশ্বকে বাংলাদেশকে ফলো করার জন্য বলেছেন বারাক ওবামা।
বাংলাদেশের অগ্রগতির রূপকার ইঞ্জিনিয়াররা। ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে এলজিইডি গ্রোথ সর্বোচ্চ।
জাতীয়ভাবে গড় বাজেট বাস্তবায়ন ৬১ শতাংশ হলেও এলজিইডি’র বাজেট বাস্তবায়ন সর্বোচ্চ ৭১ শতাংশ। ইঞ্জিনিয়ারদের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কিছু ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারদের বদনাম করা সোজা, কারণ তাদের কাজ দৃশ্যমান। অন্যরা ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে ১০ গুণ কামাই করলেও তা দেখা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ দৃশ্যমান বলে তাদের বদনাম বেশি হয়। ইঞ্জিনিয়ারদের দিকে যতই আঙুল তোলা হোক ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতিকে ইঞ্জিনিয়ারদের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের যখন ইন্টারভিউয়ের কথা আসে প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, ‘ওদের আবার ইন্টারভিউ কী? ওরা তো ইন্টারভিউ দিয়েই ভর্তি হয়। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।’
ইঞ্জিনিয়ারদের যেখানে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাদের কাছেও তো জাতি অনেক কিছু আশা করে। ইঞ্জিনিয়ারদের জাতিকে সেই অনুযায়ী কিছু দিতে হবে- যোগ করেন সমবায় মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রূপকল্প বাস্তবায়নে কোনো জাতি এমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে না। রূপকল্পের টার্গেট বাস্তবায়নে ইঞ্জিনিয়ারদের অবদান হবে ৯০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বুয়েটের সাবেক ভিসি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল হক চান, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ

Unknown বলেছেন…
ইন্জিনিয়ারদের কথা সবাই শুধু মুখেই বলে কিন্তু কোন প্রকার উন্নতি তো দেখা যায় না, এমনকি কঠোর আন্দোলনের ও কোন ফল পাওয়া যায় না,

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।