লেখকঃ মাসুদ খান , ডুয়েট
যারা সদ্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছ তাদেরকে অভিনন্দন । তোমরা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছো। শিক্ষাজীবনে আরও উপরের ধাপে ওঠার সুযোগ তোমাদের আছে। তবে আমরা যখন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করি তখন মনে হয় এই বুঝি পড়াশোনার শেষ । কত চাকরি বাজারে অপেক্ষা করছে । কিন্তু এধরনের মনোভাব তোমরা কেন নিয়ে আসছো ? তােমাদের আশেপাশে দেখাে তােমাদের বন্ধুদের পড়াশুনা শেষ করতে এখোনো ৪-৫ বছর সময় লাগবে । তাই তােমরা ও নিজেদের প্রস্তুত করাে । সর্বপ্রথম তোমাদের লক্ষ্য ঠিক করো। কি করবে তোমরা । তা হল,
১. ডুয়েটে বি.এস.সি এর জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
২. অন্যান্য বিশ্ব-বিদ্যালয়ে বি.এস.সি এর জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি (শা.বি. অন্যতম)
৩. প্রাইভেটে বি.এস.সি (চাকরি না করে)
৪. প্রাইভেটে বি.এস.সি (চাকরি করে)
৫. সরকারী চাকরি
৬. স্বায়ত্ত-শাসিত প্রতিষ্ঠনে চাকরি
৭. প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি
৮. দেশের বাইরে চাকরি
৯. দেশের বাইরে পড়াশুনা করতে যাওয়া।
উপরে ১-৬ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের অবশ্যই গাজীপুরে এসে দেখে শুনে একটি ভাল মানের কোচিং এ ভর্তি হতে হবে।
৩-৪ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের গাজীপুরে এসে কোচিং এর উপর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়বে না তবে কোচিং এ ভর্তি থাকা ভাল। তোমারা যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাও সেখানকার বিষয় গুলো দেখে গাজীপুরের ভাইয়াদের কাছে সেই বিষয় গুলোর ব্যাসিক অর্থাৎ এইস.এস.সি এর বিষয় গুলো প্রাইভেট পড়ে শেষ করতে হবে। তারপর তোমরা যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাও সেখানে চলে যাবে।
৫-৬ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের গাজীপুরে এসে কোচিং এর পাশা-পাশি চাকরির প্রিপারেশন বই গুলো ফলো করতে হবে। বিশেষ করে পড়ার পরিশেষের জন্য তোমাদের গাজীপুর আসতে হবে আর ডিপার্টমেন্টাল বিষয় গুলির জন্য গাজীপুর না আসলে কোন দিনও নিজেকে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে না ।
৭-৯ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের ইংলিশ স্পিকিং ছাড়া কোন গতি হবে বলে মনে হয় না। তাই যেখান থেকে হোক ইংলিশ এর উপর লেগে পড়ো। ভয় পেলে চলবে না , আর ইংলিশ ছাড়া কখনো ভাল সেলারি আশা করো না।
৭ & ৮ নং সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করলে তােমাদের কিছু ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। এতে করে চাকরি পাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
শুধুমাত্র ৯ নং সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করলে তােমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তবে নিরাশ হওয়ার কোন করণ নাই, একমাত্র তোমরাই উপরের ১-৮ নং সিদ্ধান্তকরীদের থেকে এগিয়ে থাকবে। যোগাযোগ করো বিভিন্ন এম্বাসিতে এবং তোমার কাংক্ষিত দেশে যেতে হলে কি কি ধরনের শর্ত পুরণ করতে হবে। আর ইংলিশ এর কি কি কোর্স করতে হবে এবং তাতে কত মার্কস (স্কোর / পয়েন্ট) পেতে হবে। আর সেই অনুযায় নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকো।
পরিশেষে বলবো এটা করবো ওটা করবো বলে বসে থাকলে তোমার ভিতরের কার্য-ক্ষম শক্তি গুলো নষ্ট হতে থাকবে এবং কিছু দিন পরে দেখবে তুমি কিছুই করতে পারছো না । তখন আফসোস করতে করতে কোন রকম লাম-সাম একটা চাকরি করতে হবে সারা জীবন। তা্ই এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার । আর এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুবই দ্রুত পরিবারে বা কােন কাজ সম্পন্ন হবার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো এই চিন্তা না করে আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাবার পর সকল কার্য সম্পাদন হবে এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাও। নইলে ঐ পরিবার বা কাজ গুলো তােমাকে কোন দিনও সফল হতে দিবে না। শুধুমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তকারীদের জন্য শুভকামনা থাকলো।
আরো জানতে এই পেজের সাথে থাকতেন... (ক্লিক লিঙ্ক করুন)
যারা সদ্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছ তাদেরকে অভিনন্দন । তোমরা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম ধাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছো। শিক্ষাজীবনে আরও উপরের ধাপে ওঠার সুযোগ তোমাদের আছে। তবে আমরা যখন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করি তখন মনে হয় এই বুঝি পড়াশোনার শেষ । কত চাকরি বাজারে অপেক্ষা করছে । কিন্তু এধরনের মনোভাব তোমরা কেন নিয়ে আসছো ? তােমাদের আশেপাশে দেখাে তােমাদের বন্ধুদের পড়াশুনা শেষ করতে এখোনো ৪-৫ বছর সময় লাগবে । তাই তােমরা ও নিজেদের প্রস্তুত করাে । সর্বপ্রথম তোমাদের লক্ষ্য ঠিক করো। কি করবে তোমরা । তা হল,
১. ডুয়েটে বি.এস.সি এর জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
২. অন্যান্য বিশ্ব-বিদ্যালয়ে বি.এস.সি এর জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি (শা.বি. অন্যতম)
৩. প্রাইভেটে বি.এস.সি (চাকরি না করে)
৪. প্রাইভেটে বি.এস.সি (চাকরি করে)
৫. সরকারী চাকরি
৬. স্বায়ত্ত-শাসিত প্রতিষ্ঠনে চাকরি
৭. প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি
৮. দেশের বাইরে চাকরি
৯. দেশের বাইরে পড়াশুনা করতে যাওয়া।
উপরে ১-৬ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের অবশ্যই গাজীপুরে এসে দেখে শুনে একটি ভাল মানের কোচিং এ ভর্তি হতে হবে।
৩-৪ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের গাজীপুরে এসে কোচিং এর উপর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়বে না তবে কোচিং এ ভর্তি থাকা ভাল। তোমারা যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাও সেখানকার বিষয় গুলো দেখে গাজীপুরের ভাইয়াদের কাছে সেই বিষয় গুলোর ব্যাসিক অর্থাৎ এইস.এস.সি এর বিষয় গুলো প্রাইভেট পড়ে শেষ করতে হবে। তারপর তোমরা যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাও সেখানে চলে যাবে।
৫-৬ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের গাজীপুরে এসে কোচিং এর পাশা-পাশি চাকরির প্রিপারেশন বই গুলো ফলো করতে হবে। বিশেষ করে পড়ার পরিশেষের জন্য তোমাদের গাজীপুর আসতে হবে আর ডিপার্টমেন্টাল বিষয় গুলির জন্য গাজীপুর না আসলে কোন দিনও নিজেকে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে না ।
৭-৯ নং পর্যন্ত যে কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তােমাদের ইংলিশ স্পিকিং ছাড়া কোন গতি হবে বলে মনে হয় না। তাই যেখান থেকে হোক ইংলিশ এর উপর লেগে পড়ো। ভয় পেলে চলবে না , আর ইংলিশ ছাড়া কখনো ভাল সেলারি আশা করো না।
৭ & ৮ নং সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করলে তােমাদের কিছু ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। এতে করে চাকরি পাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
শুধুমাত্র ৯ নং সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করলে তােমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তবে নিরাশ হওয়ার কোন করণ নাই, একমাত্র তোমরাই উপরের ১-৮ নং সিদ্ধান্তকরীদের থেকে এগিয়ে থাকবে। যোগাযোগ করো বিভিন্ন এম্বাসিতে এবং তোমার কাংক্ষিত দেশে যেতে হলে কি কি ধরনের শর্ত পুরণ করতে হবে। আর ইংলিশ এর কি কি কোর্স করতে হবে এবং তাতে কত মার্কস (স্কোর / পয়েন্ট) পেতে হবে। আর সেই অনুযায় নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকো।
পরিশেষে বলবো এটা করবো ওটা করবো বলে বসে থাকলে তোমার ভিতরের কার্য-ক্ষম শক্তি গুলো নষ্ট হতে থাকবে এবং কিছু দিন পরে দেখবে তুমি কিছুই করতে পারছো না । তখন আফসোস করতে করতে কোন রকম লাম-সাম একটা চাকরি করতে হবে সারা জীবন। তা্ই এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার । আর এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুবই দ্রুত পরিবারে বা কােন কাজ সম্পন্ন হবার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো এই চিন্তা না করে আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাবার পর সকল কার্য সম্পাদন হবে এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাও। নইলে ঐ পরিবার বা কাজ গুলো তােমাকে কোন দিনও সফল হতে দিবে না। শুধুমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তকারীদের জন্য শুভকামনা থাকলো।
আরো জানতে এই পেজের সাথে থাকতেন... (ক্লিক লিঙ্ক করুন)