সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দেশের বাইরে যাবার আগে যা অবশ্যই করবেন !

সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভাল আছেন। আজকে আমি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দের দেশের বাইরে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করব । বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন অনেক ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে যাচ্ছে তার কারন ওরা বেতন অনেক দেবে বলে । আর তাও ঠিক কারন আমাদের দেশে একজন ইইঞ্জিনিয়ার বেতন ১৫ থেকে ২৹ হাজারের মত ,অথচ দেশের বাইরে পায় লাখের উপরে । কিন্তু অনেক ইঞ্জিনিয়ার পড়ছে দালালের থাবায় ভালো বেতন তো দুরের কথা ঠিক মত কাজ পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে । যাই তার মূল কারন এখানে আলোচনা করব ।
বাংলাদেশে থাকতে ইঞ্জিনিয়ারের করনীয়:-
  • প্রথমে আপনার মূল সার্টিফিকেট কারিগরি বোর্ডে সত্যায়িত করতে হবে ।
  • তারপর সার্টিফিকেট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে সত্যায়িত করতে হবে
  • তারপর সার্টিফিকেট টি পর রাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সত্যায়িত করতে হবে
  • সব শেষে আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের এমবাসি তে সত্যায়িত করতে হবে ।
প্রতারনার হাত থেকে বাঁচতে আপনার করনীয়:
আমি অনেক দিন ওমানে চাকরি করেছি সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তাই আমি দেখেছি বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের আসল অবস্থা । কারন ওমানে ,দুবাইয়ে অনেক কেরেল্লা (ইন্ডিয়ান) ইঞ্জিনিয়ার আছে যে তারা ঘুমাইলেও বেতন পায় । তার কিছু কারন আমি তুলে ধরছি
  • . একজন মানুষের যখন ভিসা বাহির হয় তার সাথে এগ্রিমেন্ট পেপার সহ থাকে।
  • এগ্রিমেন্ট পেপারে ইন্জিনিয়ার বা লেবার হলেও কত টাকা বেতন পাবে সকল সুবিধা কত বছরের কন্ট্রাক্ট তা লিখা থাকে ।
  • প্রত্যেকটি বাংলাদেশি কে এখানেই ঠকায় কারন কোন বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ারের যখন কোন ভিসা দেশে পাঠানো হয় তখন এগ্রিমেন্ট পেপার দেওয়া হয়না ।
এগ্রিমেন্ট পেপার না দেওয়ার কারন:
ওমান বা দুবাইয়ে ৯০ % কোম্পানি (নামে মাত্র) ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ থেকে নেয় ভিসা বাহির করে বিক্রি করার জন্য । কারন একজন ইন্জিনিয়ার শো করলে ১০-১৫ টি মেশন কার্পেন্টার এর ভিসা পাওয়া যায় । ভিসা পেলে তারা বিক্রি করে পরে ইঞ্জিনিয়ারকে দেশে পাঠিয়ে দেয় । তখন ইন্জিনিয়ার ও নিরুপায় কারন তার কাছে কোন এগ্রিমন্ট পেপার নেই । যদি এগ্রিমন্ট পেপার থাকত তাহলে পেপার দিয়ে কেস করলে মালিক ২ বছরের বেতন দিয়ে দেশে পাঠাতে হবে । আর ইন্ডিয়ান ইন্জিনিয়ার ঘুমাইলেও বেতন পায় কেন তা একটু বলি। কারন তারা যখন দেশের বাইরে আসে তখন ইন্ডিয়ান এমবাসিতে কন্ট্রাক্ট করে আসে যদি তারা ফেরত যায় তাহলে তাদের কে যতটাকা এগ্রিমেন্ট পেপারে চুক্তি থাকবে তত টাকা ফেরত দিতে হয় । 

আপনি এমন সুযোগ পেলে যা করবেন : 
যখন আপনি ভিসা পাবেন তখন এগ্রিমেন্ট পেপার চাইবেন না হয় যখন কন্ট্রাক্ট হবে তখন বলবেন এগ্রিমেন্ট পেপারের কথা । আপনাকে দিয়ে যদি এমন ধান্দা করার চিন্তা ভাবনা থাকে দেখবেন দালালটি কেটে পড়ছে । কত টাকা লাগবে বিদেশে যেতে :আপনাকে যখন প্রস্তাব দিবে তখন টাকা চাইতে পারে ।কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ার দেশের বাইরে গেলে ভিসা প্রসেসিং খরচ ফ্লাইট ভাড়া (সব খরচ ) কোম্পানি বহন করবে

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।