সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পলিটেকনিক ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ

পরিবহনশ্রমিকদের মারধরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অন্তত ১০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মধ্যে চারজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার নাড্ডার পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে আহত ছাত্ররা দাবি করেছেন।

আহত তানভীর হোসেন অভিযোগ করেন, তেজগাঁও এলাকায় ইনস্টিটিউটের পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনিসহ চার-পাঁচজন ছাত্র ওয়াসিম পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ছাত্র হিসেবে তাঁরা অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে বাসের টিকিট চেকার তা নিতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি নাড্ডার পাড় এলাকায় পৌঁছালে ছাত্ররা বাস থেকে নেমে প্রতিবাদ করেন। তাঁদের সঙ্গে ওয়াসিম পরিবহনের আরও দুটি বাসে আসা ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্র যোগ দেন। এ সময় ১৫-২০ জন পরিবহনশ্রমিক বাঁশ ও লাঠি নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা করেন। তানভীর বলেন, হামলায় সব ছাত্রই কমবেশি আহত হয়েছেন। তবে তিনিসহ চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। গতকাল বিকেলে তাঁরা ঢাকা মেডিকেল থেকে আগারগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়া অন্যরা হলেন রাসেল আহমেদ, ইসমাইল মোল্লা ও মো. বাপ্পী। তাঁরা সবাই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষে পড়েন। প্রতিদিন তাঁরা ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে থেকে বাসে ওঠেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানায় যোগাযোগ করা হলে ঘটনাটি ডেমরা এলাকায় ঘটেছে বলে থানার ডিউটি অফিসার জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কাউসার আহমেদ বলেন, বাসভাড়াকে কেন্দ্র করে খিলগাঁওয়ের নাড্ডার পাড় এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে মারামারি হয়েছে। এটা বড় কিছু নয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।