বহিরাগতদের দৌরাত্বে ভেঙ্গে পড়েছে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনিষ্টটিউটের শিক্ষা ব্যবস্থা/ছাত্রাবাসে বসছে মাদকের আসর
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনিষ্টটিউট এর শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বহিরাগতদের দৌড়াত্ব, শিক্ষকদের অসহযোগীতা, আবাসন সংকট, অলস শিক্ষার্থীরা মাদকাশক্ত হয়ে পড়া, দফায় দফায় কলেজ বন্ধসহ অধ্যক্ষর অনুউপস্থিতির কারনেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছ বলে মনে করছেন অনেকেই।
১৯৬৪ সালে চারটি বিষয় নিয়ে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনিষ্টটিউটি চালু হলেও ১৯৯৫ সালে ইলেকট্রনিক্র ও কম্পিউটার সায়েন্স যুক্ত হয়ে বর্তমানে ৬টি বিষয় চালু রয়েছে। প্রতিবছর ২ থেকে ৫শত শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এই কলেজে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করে ভর্তি হলেও পরে তা ধরে রাখতে পারেন না কেবল মাত্র শিক্ষকদের চরম অসহযোগীতার কারনে। অভিযোগ রয়েছে কলেজের শিক্ষকেরা কলেজের ক্লাস নেওয়ার চাইতে বেসরকারী পলিটেকনিক ইনিষ্টটিউট এর ক্লাস নেওয়াতে বেশী স্বচ্ছন্দবোধ করেন । তাছাড়া কতিপয় শিক্ষকদের ইন্ধোনেই বহিরাগতরা কলেজে প্রবেশ করে সাধারন শিক্ষার্থদের উপর চড়াও হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। আর সেই সুযোগেই কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিয়ে সচল রেখেছেন।
নাম প্রকাশ না কারা শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনিষ্টটিউটে বর্তমানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েগেছে। বহিরাগতদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে দফায় দফায় কলেজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি ছাত্রাবাসগুলো বহিরাগতদের নেশার উপযুক্ত স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই তারা কোন না কোন শিক্ষার্থীর রুমে ঢুকে নেশার আসর জমায়।
অভিযোগ রয়েছে কলেজের সিভিল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান কলেজের ক্লাস নেওয়ার চাইতে কুষ্টিয়া ইনিষ্টটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজী (ক্রিয়েট) এ ক্লাস নেওয়াতে বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করেন ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক কলেজের সিভিল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান বেসরকারী কলেজের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে সরাসরি স্বিকার না করলেও তিনি বলেন ছেলের গড়ে তোলা কুষ্টিয়া ইনিষ্টটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজী (ক্রিয়েট) প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করছেন।
ছাত্রবাসের বিষয়ে হোস্টেল সুপার মোঃ সেলিম রেজা বলেন, কলেজে ২৫ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও আবাসন ব্যবস্থা আছে মাত্র ১শ ৯০ জনের, তার মধ্যে লালন শাহ্ ছাত্রাবাসটি প্রায় ৭ বছর আগেই পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়ায় দরীদ্র ছাত্রদের লেখা-পড়ার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর মীর মোশাররফ হোসেন নামের অপর ছাত্রাবাসটি ভাল থাকলেও তা বহিরাগতদের মাদক সেবনের উত্তমস্থানে পরিণত হয়েছে বলে স্বিকার করেন তিনি।
অধ্যক্ষর অনুউপস্থিতি আর শিক্ষকদের অসহযোগীতার কাররেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এ অচলঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
তবে অধ্যক্ষ মোঃ লুত্ফর রহমান বলেন প্রসাশনিক কাজে তিনি বাহিরে থাকেন সেই সাথে ক্লাস না হলেও সিলেবাসের নব্বই শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন।
সমসত্ম অভিযোগ শেষ করে জেলার সুনামধ্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।
মন্তব্যসমূহ