সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রশ্নঃ পড়াশুনার জন্য বাংলাদেশ ভালো হবে নাকি ইন্ডিয়া ?

উত্তরঃ 
বাংলাদেশ থেকে ভারতের শিক্ষার মান উন্নত। ভারতের কোন শিক্ষিত লোক বেকার থাকে না তাদের চাকুরি হবেই। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষা বাধ্যতামূলক হলেও শিক্ষিত হয়েও লক্ষ লক্ষ যুবক চাকুরীর অভাবে বেকার। তাই আপনি ভারতের একজন শিক্ষিত নাগরিক হতে হলে অনেকটা ভাগ্যবান। আর যেহেতু আপনার পরিবারও ভারতে চলে যাচ্ছে বা কিছু দিন পরে যাবে তাহলে আপনাকেও আপনার পরিবারের সাথে থাকাটা উচিত বলে মনে হয় আমার। একটু ভেবে দেখুন আপনি বাংলাদেশের শিক্ষিত হয়ে জীবনে কি পাবেন আর ভারতের শিক্ষিত হয়ে কি পাবেন। আপনি বর্তমানে কোন শ্রেনীতে সেটা উল্লেখ করলে উত্তর আরও ভালোভাবে দেওয়া যেত। 
আপনাকে বলি রাখি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা আর ভারতের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনেক কিছুইই আলাদা। যেমন-  বাংলাদরশে ১০ ক্লাস পাস করলে SSC পরীক্ষা দিতে হয় অর্থ্যাত ১১ তম ক্লাসে কলেজ কিন্তু ভারত বর্ষে ১২ তম ক্লাসে SSC পরীক্ষা হয়। আরও অনেক পার্থক্য আছে সেগুলো জেনেই সিদ্ধান্তটা নিবেন। তা না হলো পরর্বতীতে সমস্যা হতে পারে। 
আর একটা কথা বলতে চাই সেটা হলো - একটা কথা আছে "বিদেশের মাটি যতই স্বচ্ছলতা দান করুন, নিরাপত্তা দিতে পারে না।" তাই সব কিছু ভেবে চিন্তে একটা স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন। ভারতে আপনার কেউ থাকলে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে চাচ্ছেন সেখান থেকে জেনে নিন তারা কিভাবে আপনাকে accpet করবে। আর একটা কথা বলে রাখি সেটা হলো ভারতে একজন ভাল ছাত্রের মতো পড়াশোনা করতে হলে বাংলাদেশে একজন ভাল ছাত্রের যে খরচ হবে তার থেকে তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশি খরচ হয়।
আমি আশা করি আমার কথাগুলো বুঝেছেন। না বুঝলে মন্তব্যে বলুন সাথে এটাও উল্লেখ করবেন আপনি বর্তমানে কি করেন ? 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।