সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রশ্নঃ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিলের ভবিষ্যৎ কি?

প্রশ্নঃ  ছোট ভাই এস, এস, সি তে ২০১৫ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে, সে একটি সরকারি পলিটেকনিক সিভিল এ ডিপ্লোমা করছে, আমার ইচ্ছা সে ভাল কিছু করুক। ডুয়েট ছাড়াও অন্য কোন পাবলিক ভার্সিটিতে কি পড়ার সুযোগ আছে? পাবলিক ভার্সিতে পড়তে হলে বা অন্য কোন দিকে ক্যারিয়ার গড়তে হলে এখন থেকেই তার কি করা উচিত? এবং সে কোন কোন ক্ষেত্রে কিভাবে তার ক্যারিয়ার গড়তে পারবে?

এই বিষয়ে সকলের মতামত আশা করছি।


উত্তরঃ
সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। প্রকৌশল বিজ্ঞান এর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। পানি,বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্ন উপায় নিয়েও সজাগ।

Civil Engineering

পুরকৌশল- প্রকৌশলবিদ্যার অন্যতম শাখা। সঙ্গত কারনেই সারা পৃথিবীর প্রকৌশল বিদ্যায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই শাখাটি। স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার তাদের জন্যই পুরকৌশল।
চাহিদারকথা বলতে গেলে বলতে হয় কিছু কিছু বিষয়ের চাহিদা সেই প্রাচীন কালেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পুরকৌশল তেমনি একটি বিষয়। অনেকের ধারনা এই বিষয় পড়লে ঘুষ খেতে হয় কিংবা এই প্রকৌশলীদের বেতন নাই। কিন্তু ভাল মন্দ সম্পূর্ণ নিজের কাছে। কেউ যদি দুর্নীতি করতে চায়, যে কোন জায়গা থেকেই তা করতে পারে। ভাল থাকতে চাইলে যে কোন জায়গাতেই ভাল থাকা সম্ভব। আর বেতনের কথা বলা যায় skill থাকলে এই বিষয়ে যত উপরে যাওয়া যায়, অন্য কোন বিষয়ে তা সম্ভব না, তা দেশেই হক আর বিদেশেই হোক।
আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দের গড় বেতন সবচেয়ে বেশি। তবে তার মানে এই নয় যে সবাই high salary র job পাবে, এজন্য তোমাকে সেই পর্যায়ের skill develop করতে হবে। এটা শুধু পুরকৌশল নয়, সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কি কি পড়ানো হয় –
পুরকৌশল একটা ব্যাপক বিষয়। তবে interest আর পরিশ্রম থাকলে সহজেই ভালকরা সম্ভব। এইখানে প্রধানত যেই বিষয় টা পড়ানো হয় তা হল mechanics, এছাড়াড্রয়িং, designing এর উপর ও ভাল দখল থাকা চাই। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধান শাখা চারটি
I. Structural Engineering
II. Transportation Engineering
III. Geotechnical Engineering
IV. Environmental Engineering
এছাড়া Water Resource কেও পুরকৌশলের একটা শাখা বলা যায় বাংলাদেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট প্রকৌশল ভার্সিটি তে সিভিলইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ আছে।
কাজের ক্ষেত্র –
I. সড়ক ও জনপদ
II. গণপূর্ত বিভাগ
III. Real estate company
IV. নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
V. পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন multinational company
VI. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও বিভিন্ন multinational NGO
পরিশেষে বলা যায়, যাদের পুরকৌশলে আগ্রহ আছে তারা নির্দ্বিধায় এ পেশায় আসতে পার।

ভালো মানের পড়ালেখায় পূর্বশর্ত ভালো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য,ভালো কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।