সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পলিটেকনিকে সিএসই কনফারেন্সে শিক্ষার্থীদের ঢল


ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের হাতেখড়িসহ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দেশব্যাপী শুরু হওয়া সিএসই কনফারেন্স দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

কানফারেন্সে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা তথ্য প্রযুক্তির আপডেট ভার্সন, প্রোগ্রামিং, মাইক্রোসফট সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, স্টাটিং ইউর ক্যারিয়ার ওয়েব ও ডাটাবেইস ডেভেলপমেন্ট, আউটসোর্সিং ,মোবাইল অ্যাপস ও তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত ক্যারিয়ার গঠন বিষয়ক ক্লাস নেন।

কনফারেন্সে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ, উপাধ্যক্ষ খোরশেদুল আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিককরা।

আলোচনায় বক্ত‍ারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল কর্মসূচির বাস্তবায়নে ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে সিএসই কনফারেন্স একটি শুভ উদ্যোগ।

সিএসই কনফারেন্সের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মো. ইসরাফিল জানান, তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক পিছিয়ে। এমনকি কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থীরাও। তাই পর্যায়ক্রমে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধিতে কাজ চালিয়ে যাবো।

তিনি জানান, গত মে মাসে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’র মাধ্যমে এ কর্মসূচির শুরু হয়। এ কর্মসূটিতে সহায়তা করছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আলফা নেট।

উদ্যোক্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে ফেনী ও বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিকে এ কনফারেন্সের আয়োজনের কাজ চলছে। কর্মশালা শেষে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার সামগ্রী বিতরণ এবং দুই শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দিয়েছে আলফা নেট।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।