সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পলিটেকনিকের ১১৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে সিঙ্গাপুর


দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক হাজার ১৫০ জন শিক্ষক ও কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেবে সিঙ্গাপুর। আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এ সংক্রান্ত অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষে নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুং তেজ ফুন চুক্তিতে সই করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চুক্তি অনুযায়ী, আগামী তিন বছরে এক থেকে ছয় সপ্তাহ মেয়াদি মোট ৬০টি প্রশিক্ষণ কোর্সে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক এবং কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা মিলে মোট এক হাজার ১৫০ জন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালে প্রশিক্ষণ নেবেন।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের  (স্টেপ) মাধ্যমে এ সহযোগিতার আওতায় নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে ১০টি পলিটেকনিট ইনস্টিটিউটে ১০টি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।
চুক্তির আওতায় প্রশিক্ষণ ও ল্যাব স্থাপনে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যার ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল এবং ৬৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, বিশ্বব্যাংক ও কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত স্টেপ প্রকল্প বহন করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস  মাহমুদ, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাহবুব উজ জামান এবং বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার চ্যান হেং উইং উপস্থিত ছিলেন।
সিঙ্গাগাপুর সরকারের পক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক অ্যান্থনি উন, কারিগরি শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের জেনারেল ম্যানেজার ডেনিলস চিয়া এবং নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল জিয়ান লিউ।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সংস্থাটির সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ড. মো. মোখলেছুর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষায় সহায় দেওয়ায় সিঙ্গাপুর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ও সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহযোগিতায় কারিগরি শিক্ষায় যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন,  ২০১৪ সালে অনুরূপ এক চুক্তির আওতায় নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ৪২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়, যার ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষাঙ্গনে এরই মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মোট শিক্ষার্থীর ১ শতাংশের কম কারিগরি শিক্ষায় লেখাপড়া করত। বর্তমানে এ হার ১২ শতাংশের বেশি।
নাহিদ বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ শতাংশে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকারের এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় নানিয়ান পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুং তেজ ফুন বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সূত্রঃ n tv

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: সাড়ে ৬ বছর ধরে বন্ধ ছাত্রাবাস, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর রেজাওয়ানুল চৌধূরী সানি। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ছাত্রাবাস ত্যাগের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি  খুলে পড়াশোনার পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে বন্ধই রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিনটি ছাত্রাবাস। ফলে অবকাঠামো থাকার পরেও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। এতে করে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে র্দীঘদিন ছাত্রাবাস বন্ধ থাকায় তা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সংস্কার না হওয়ায় ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছাত্রাবাস সংস্কার করে তা খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রমৈত্রীর দ্বন্দ্ব এখ...

ডিপ্লোমা কি অনার্স এর সমমান?

না ডিপ্লোমা অনার্সের সমমান নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার মান কোনটা কি দেখতে নিচের ছবিটা দেখুন

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কিভাবে শাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পেতে চান ?

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বেস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে একটি । এখানকার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ফ্যাকাল্টি এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) এর ফ্যাকাল্টি এর ডিমান্ড বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর পরপরই । কেননা এই দুইটি ফ্যাকাল্টি বিশেষত CSE ফ্যাকাল্টি এর দায়িত্বে রয়েছেন আমাদের সকলের অতি পরিচিত মুখ আর আমাদের শ্রদ্ধাভাজন " ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার" । এই কথা শুনে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট কিংবা ডুয়েটিয়ান রা যত চিল্লাচিল্লি করুক না কেন শেষ পর্যন্ত যখন জব মার্কেট কে এনালাইসিস করবে সকলে এবং সেই সাথে যখন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদ দের পরামর্শ নিবেন তখনই বুঝতে পারবেন কথাটি কতটুকু সত্য । যাই হউক এবার আসি মুল বক্তব্য এ । একথা সত্য যে যে ডুয়েট এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ব্যাতিরখে কেউ কখনও শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির আশা কোনভাবেই করতে পারে না ।